নারীর গোপনাঙ্গের সুস্থতা বজায় রাখা জরুরি। যদিও এ বিষয়ে অনেক বেশি ভুল ধারণা ছড়িয়ে আছে। যা অনুসরণ করলে গোপনাঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।
তেমন একটি ভুল ধারণা হলো, বিশেষ পদ্ধতিতে গোপনাঙ্গের ভেতর পরিষ্কার করা। গোপনাঙ্গের ভেতর পরিষ্কারের প্রয়োজন হয় না, তবে বহিঃস্থ ত্বক পরিষ্কার করা যাবে। যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সহবাসের পর গোপনাঙ্গের যত্ন নেয়ার প্রয়োজন আছে- তবে ভুল পদক্ষেপ নেয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এখানে সহবাসের পর করণীয় উল্লেখ করা হলো।
এক. বাথরুমে যান এবং গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করুন। লস অ্যাঞ্জেলেস অবস্টেট্রিসিয়ানস অ্যান্ড গাইনিকোলজিস্টসের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যালিসন হিল এবং ইভন বন জানান, গোপনাঙ্গের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখা এবং মূত্রনালী সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সহজ উপায় হচ্ছে, সহবাসের পর প্রস্রাব সেরে নেওয়া, যার ফলে জীবাণু বের হয়ে যাবে। জীবাণু দূর করা না গেলে মূত্রাশয় বা মূত্রনালিতে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে।
দুই. ডা. হিল বলেছেন, ভুল পদ্ধতিতে ওয়াইপ করা যাবে না। এটি করলেও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যদি রেক্টামের জীবাণু গোপনাঙ্গে প্রবেশ ঠেকাতে চান, তাহলে সামনে থেকে পেছনে ওয়াইপ করুন।
তিন. মৃদুভাবে পরিষ্কার করুন: গোপনাঙ্গ সুস্থ রাখতে মৃদুভাবে পরিষ্কারেরও প্রয়োজন হতে পারে। ভালোভাবে কুসুম গরম পানি ও মিল্ড সোপ দিয়ে মৃদুভাবে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। কোনো সুগন্ধি সাবান ব্যবহার করবেন না।
চার. সহবাসের পর প্রস্রাব সেরে নেয়া জরুরি। এই সময় কুসুম গরম পানি-মাইল্ড সোপ দিয়ে ধোয়ার পর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিয়ে ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরতে পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ গোপনাঙ্গ ভেজা থাকলে ছত্রাক সংক্রমণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। টাইট অন্তর্বাস পরিহার করুন, যেমন- নাইলনের অন্তর্বাস। এর পরিবর্তে কটনের অন্তর্বাস ব্যবহার করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইট ফিটিং অন্তর্বাস পরলে গোপনাঙ্গের আর্দ্রতা বেড়ে গিয়ে জীবাণুর বংশবিস্তার বৃদ্ধি পায়।
আরো যা করতে হবে
>> পানি পান করুন। শরীরের সতেজতা ফিরে পাবেন।
>> দই খান। সহবাস পরবর্তীতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন, বিশেষত প্রোবায়োটিক-সমৃদ্ধ খাবার। একটি সেরা প্রোবায়োটিক-সমৃদ্ধ খাবার হলো দই।
তথ্য সূত্র: দ্য ইনসাইডার